শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি।।বিকেলে গায়ে হলুদ, রাতে বিয়ে। খবর শুনে বাল্য বিয়ে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও কোস্ট ট্রাস্ট শিশু বিবাহ রোধ প্রকল্পের কর্মীদের প্রচেষ্টায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সালমা বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো। ভোলা সদর উপজেলা পূর্ব ইলিশা ইউপির দুই নম্বর ওয়ার্ডের গুপ্ত মুন্সি গ্রামের সিরাজ মাঝির মেয়ে সালমা বাঘার হাওলা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।
ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন, সিরাজ মাঝি মেয়ে সালমাকে পার্শ্ববর্তী ইউপির রাজাপুর ক্লোজার বাজার এলাকার মুদি দোকানদার জামালের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের পারিবারিকভাবে কাজী অফিসে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।
খবর পেয়ে বাল্য বিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির শাহরয়িার জিলন, অঙ্কুর রায় ও সাংবাদিক আদিল হোসেন ও কোস্ট ট্রাস্ট শিশু বিবাহ রোধ প্রকল্পের কর্মীরা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়।
পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান হাছনাইন আহমেদ হাছান মিয়াকে বাল্য বিয়ে কথা জানালে তিনি বিয়ের সব আয়োজন বন্ধ করে দেয় এবং মেয়ে ১৮ বছর না হলে কোন বিয়ে দেবে না বলে অঙ্গীকার করেন।
বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কাওছার হোসেনকে জানালে সকলের চেষ্টায় বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সালাম।
সালমা বলেন, পরিবারের সিন্ধান্ত অনুযায়ী ও বাবা মায়ের মন রক্ষার্থে বিয়েতে রাজি হয়েছি। আমার স্বপ্ন আমি পড়াশোনা শেষ করে বিয়ে করবো।
পূর্ব ইলিশার চেয়ারম্যান হাছনাইন আহমেদ হাছান মিয়া বলেন , ইউপি সদস্য কামাল হোসেনকে পাঠিয়ে বিয়ের সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মেয়ের প্রাপ্ত বয়স হলে তাদের বিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
Leave a Reply